স্টাফ রিপোর্টার : কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ হৃদযন্ত্রের গুরুতর জটিলতা নিয়ে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক/বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে তাঁর অবস্থাকে সংকটজনক বলা হয়েছে। বিপুল ঘোষ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারের নূরজাহান বেগম সার্জারি ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বেডে আছেন। সেখানে প্রফেসর ডাক্তার মাসুম সিরাজের তত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।

আগামী ৫ অক্টোবর বুধবার সকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকেই বিপুল ঘোষের হৃদযন্ত্রে বাল্ভ প্রতিস্থাপন করবেন ডাক্তার মাসুম সিরাজ। বিপুল ঘোষ ও পরিবারের সদস্যরা তাঁর আশু রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর দোয়া/আশীর্বাদ চেয়েছেন।

বিপুল ঘোষ ১৯৭৩ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তারপর ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময় থেকে জিয়ার রুদ্ররোষে বছরের পর বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি একটানা সাড়ে চার বছর কাটিয়েছেন এবং ভোগ করেছেন অস্বাভাবিক কারানির্যাতন। এরশাদের আমলে তিনি ১৭ বার কারাগারে গিয়েছেন।

একপর্যায়ে তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় হয়ে উঠেছিলেন একজন সত্‍ ও যোগ্য রাজনীতিবিদ। তিনি দীর্ঘ ১১ বছর ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্বাচিত করেন। বিপুল ঘোষ শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত রাজনৈতিক কর্মী। শেখ হাসিনার যেকোনো নির্দেশ বাস্তবায়নে বিপুল ঘোষ পিছপা হন না । বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্ণেল ফারুখ বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি ফরিদপুরে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরের মাটিতে পা ফেলতে দেননি, এই সেই বিপুল ঘোষ । সেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বিপুল ঘোষ এখন হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতাদের দাপটে অবহেলিত ও বঞ্চিত।

(পিএস/অ/অক্টোবর ০৩, ২০১৬)