বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম গুলুয়া গ্রামের মায়া রানী দাস (৫৫) খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নিজ গৃহে একই এলাকার যুবক নিপেশ দাস সুনাই মায়া রানীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় রাস্তায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। নিহত মায়া রানী গুলুয়া গ্রামের মৃত ললিত মোহন দাসের স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত যুবক নিপেশ দাস সুনাইকে (২৩) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে গুলুয়া গ্রামের মৃত ললিত মোহন দাসের স্ত্রী মায়া রানী দাস নিজ ঘরে বসে সকালের নাস্তা করছিলেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে একই গ্রামের নিতাই চাঁদ দাসের ছেলে নিপেশ দাস ওরফে সুনাই মায়া রানীর ঘরে প্রবেশ করে কেঁচি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

এসময় মায়া রানীর চিৎকারে স্থানীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সিলেটে নেওয়ার পথে গোলাপগঞ্জ এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ সুরহাতাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তবে কি কারণে বৃদ্ধাকে কুপিয়েছে এর সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘কি কারণে বৃদ্ধাকে কুপিয়েছে এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এলাকার লোকজন বলছেন ছেলেটি এর আগেও অন্যলোকদের মারতে ধাওয়া করতো। এ ঘটনায় তদন্ত ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

(এলএস/এএস/অক্টোবর ০৬, ২০১৬ )