কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে  কালিয়ার বিলবাউজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বাপ্পি খানম। বাল্য বিয়ে করতে আসার ও রেজিষ্ট্রি করতে আসার অপরাধে বর ও কাজিকে ১৫ দিন করে জেলের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার রাতে কালিয়ার ইউএনও মোঃ কামরুল ইসলাম তার কার্যালয়ের ভ্রাম্যমান আদালতে ওই দন্ডাদেশ দেন। পুলিশ ওই দন্ডাদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসিরা জানান,কালিয়া উপজেলার বিলবাউজ গ্রামের ভ্যান চালক মোতালেব শেখের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে বাপ্পির সাথে পাশের গ্রাম চাদপুরের দুখু মিয়ার ছেলে সুজন শেখের সাথে বিয়ের দিন ঠিক ছিল শুক্রুবার সন্ধ্যায়। সংসারের কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুক্রবার সকাল থেকেই বাপ্পির বাড়িতে চলছিল তার বিয়ের ধুমধাম। সন্ধ্যার পরে চাদপুর থেকে বরযাত্রী সহ হাজির হলেন হবু বর দুখুমিয়ার পুত্র সুজন শেখ(২০)।

বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও মোঃ কামরুল ইসলাম বিয়ের আসরে অভিযান চালিয়ে আটক করেন বর সুজন শেখ ও পাচকাহুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে কালিয়া পৌর সভার বিয়ে রেজিষ্টার আতিকুল্লাহকে। এবং রাত ৮ টার দিকে ইউএনও তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম জেলের আদেশ দেন। শনিবার ওই দুইজনকে নড়াইল কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

(এমএইচএম/এএস/অক্টোবর ০৮, ২০১৬)