বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল একজন বিপুল ঘোষকে আমরা অকালে হারাতে চাই না
প্রবীর সিকদার :
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে ভর্তিই হয়েছিলেন তাঁর হৃদযন্ত্রে ভাল্ব প্রতিস্থাপনের জন্য। অধ্যাপক ডা. মাসুম সিরাজ ৫ অক্টোবর সকালে হৃদযন্ত্রে অপারেশনের মাধ্যমে ওই ভাল্ব প্রতিস্থাপন করবেন, সেটাও নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে ওই দিন বিপুল ঘোষের অপারেশন হয়নি। তখন জানানো হয়েছিল, তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অপারেশনটা করা যায়নি।
২/৩ দিন পর্যবেক্ষণের পর হৃদযন্ত্রে ভাল্ব প্রতিস্থাপনের দিনক্ষণ আবার ঠিক করা হবে। সেই দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি বা ঠিক করা যায়নি। এদিকে বিপুল ঘোষের মুখমণ্ডল বেশ ফুলে গেছে। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সার্জারি ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে বিপুল ঘোষকে। এখন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাকি বলছেন, বিপুল ঘোষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে বড় বড় জায়গা থেকে খোঁজখবর নেওয়ায়, তাদেরকে খুবই সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাহলে দাঁড়াচ্ছে এই , সরকার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা খোঁজখবর নেওয়ায় ৫ অক্টোবর বিপুল ঘোষের হৃদযন্ত্রে অপারেশন হয়নি ! অর্থাৎ বিপুল ঘোষের চিকিৎসা নিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের চিকিৎসকেরা দ্বিধায় আছেন!
এই পরিস্থিতিতে বিপুল ঘোষের সঠিক ও কার্যকর চিকিৎসা নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই শুধু নয়, আমরা যারা বিপুল ঘোষের শুভাকাঙ্ক্ষী, তারাও চিন্তিত ও শঙ্কিত। আমি আশা করবো, ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের চিকিৎসকেরা দ্বিধা কাটিয়ে অবিলম্বে বিপুল ঘোষের জন্য কার্যকর ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন। সেই চিকিৎসা হতে পারে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে কিংবা দেশের অন্য হাসপাতালে কিংবা বিদেশের কোনও হাসপাতালে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির একজন একনিষ্ঠ ও পরীক্ষিত কর্মী বিপুল ঘোষকে আমরা অকালে হারাতে চাই না।
চিকিৎসক ও সমাজ-রাজনীতির নিয়ন্ত্রকদের প্রতি আমার আকুল আবেদন, দেশে কিংবা বিদেশে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে বিপুল ঘোষকে সুস্থ করে তুলবার সর্বোচ্চ চেষ্টাটি আপনারা করুন; সরকার তথা রাষ্ট্রের কাছে বিপুল ঘোষের এইটুকু ন্যায্য অধিকার নিশ্চয়ই রয়েছে ।
(পিএস/এএস/অক্টোবর ১০, ২০১৬)