গাইবান্ধা প্রতিনিধি : পলাশবাড়ীতে কোয়েল পাখি লালনপালন করে আর্থিক মন্দাভাব কাটিয়ে এখন সচ্ছলতার মুখ দেখেছেন পলাশবাড়ীর অনেক পরিবার। সরকারিভাবে ঋণ বা সহযোগিতা পেলে বড় খামার গড়ার পাশাপাশি আরো অনেক পরিবারই এ খামার গড়ে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থা দূর করতে পারবে।

পলাশবাড়ী শহরের ও বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে কোয়েল পাখির খামার। কালীবাড়ীসহ বিভিন্ন ছোট বাজারে প্রতিদিন শতশত কোয়েল পাখি এবং পাখির ডিম বিক্রি হয়ে থাকে। শহরের হোটেল রেস্টুরেন্টে পাখির চাহিদা থাকায় প্রতিদিন এ বাজার জমে উঠছে।

পলাশবাড়ী এলাকার কোয়েল পাখির খামারি জালাল উদ্দিন জানান, কোয়েল পাখির চাহিদা রয়েছে পলাশবাড়ীসহ কয়েকটি জেলার নামিদামি হোটেল, মোটেল ও রেস্টেুরেন্টে। এসব চাহিদা মেটাতে পলাশবাড়ী থেকে কোয়েল পাখি ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। কোয়েল পাখি লালনপালন করে আগের থেকে তার ভালো আয় হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শরিফুল জানান, পলাশবাড়ী কোয়েল পাখি চাষ হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোয়েল পাখির খামার ও পাইকারি বিক্রেতা হয়ে অনেক বেকার যুবক এখন আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েছেন। পলাশবাড়ী উপজেলায় অনেক পরিবার রয়েছেন যারা কোয়েল পাখির খামার গড়ে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছেন।

(এসআইআর/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০১৬)