বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিবেশীকে বিয়ের  দাওয়াত না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ৩ টি বসত বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে  উপজেলার বড়বাড়িয়া এলাকায় এসংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংর্ঘষের আশংকায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া শিকদার পাড়া গ্রামে প্রতিবেশীকে মেয়ের বিয়ের দাওয়াত না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলী আহম্মেদ শিকদার ও চাঁন মিয়া শিকদার গ্রুপের মধ্যে রাতে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি এ সংঘর্ষে গৃহকর্তা আলী আহম্মেদসহ (৪৫) তার গ্রুপের জাহাঙ্গির শিকদার (৩৫), আলমগীর শিকদার (৩০), বাকা মিয়া শিকদার (২৫), ঝন্টু শিকদার (২২), লিয়াকত শিকদার (৪৮), বাশার শিকদার (৫২), সালিম শিকদার (৪৫), আজগর শিকদার (২৩), লিন্টু শিকদার (২৫), নিরু বেগম (৪৫), জসিম শিকদার (১৭) ও বেদার শিকদার (১৮) এবং প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী চান মিয়া শিকদার গ্র“পের ঠান্ডা শেখ (৪৫), রমিম শিকদার (১৫), রাজিব শিকদার (১৭), সোহাগ উকিল (১৮), আছাদ শিকদার (২২) ও দাউদ শিকদার (৫০) আহত হয়। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে আলী আহম্মেদ শিকদার, আলমগীর শিকদার, ঝন্টু শিকদার ও লিয়াকত শিকদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজাম্মান পান্না জানান, সামান্য বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। এত ৩ টি বসত বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। যা একেবারে অমানবিক কর্মকান্ড।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
(একে/এএস/জুন ১২, ২০১৪)