বরগুনা প্রতিনিধি : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে বরগুনার বামনায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা উপেক্ষা করে উৎকোচের মাধ্যমে নিয়োগদানের অভিযোগ উঠেছে।  উপজেলার পশ্চিম গোলাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরন না করে  নিয়োগ কর্তৃপক্ষ আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রার্থী নিয়োগ দেন এ বলে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বৃহস্পতিবার বামনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্ত্যিুদ্ধকালীন নয় নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর হেটকোয়ার্টারের মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান মল্লিক।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ৯ জুন উপজেলার পশ্চিম গোলাঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. রাসেল মল্লিক আবেদন করেন। কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়াই নিয়োগ কর্তৃপক্ষ প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য কোন প্রকার প্রবেশ পত্র দেয়নি। এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মল্লিক প্রতিবাদ জানালে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মাহমুদুল্লাহ তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, অফিস প্রবেশপত্র না দিলেও প্রার্থী রাসেলকে পরীক্ষা অঙম নিতে দেওযা হবে। এজন্য নিয়োগ পরীক্ষার দিন সময়মত কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পরামর্শ দেন। যথারীতি রাসেল পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষ তাকে লোক দেথানোর জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়। এরপর নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা উপেক্ষা করে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের বিনিময় মোটা অংকের উৎকোচ হাতিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন. নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. ফাতিমা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাহমুদুল্লাহ রাসেলকে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবী করলে তা দিতে অস্বীকার করায় এই নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হওয়া সত্ত্বেও রাসেলকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা বাঁধিয়ে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বলেন,ওই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা থাকার কারনে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওযা হয়নি।
প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হল কেন জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
(এমএইচ/এএস/জুন ১২, ২০১৪)