চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূর ই আলম মিনা জঙ্গিরা চট্টগ্রামকে টার্গেট করতে পারে বলে সহকর্মীদের সতর্ক করেছেন।

সোমবার মাসিক অপরাধ সভায় তিনি বলেছেন, সাঁড়াশি অভিযানের কারণে আমাদের মনে হচ্ছে জঙ্গি কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে গেছে। কিন্তু তারা যে কোন সময় চট্টগ্রামকে টার্গেট করে নাশকতা করতে পারে। এজন্য আমাদের জঙ্গি মোকাবেলায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘যে কোন পরিস্থিতিতে, যে কোন সময় জঙ্গিদের মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা যাতে চট্টগ্রামে কোন আস্তানা গড়তে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ’ বলেন এসপি।

ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের এলাকায় বাড়ির মালিক-ভাড়াটিয়া সম্পর্কে সব তথ্য আপনাদের থাকতে হবে। নিয়মিত তথ্য আপডেট করে নিতে হবে। কোন ভাড়াটিয়া এল, কারা এলাকা ছেড়ে গেল সেগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।

‘জঙ্গিদের গ্রেফতারের সময় দেখা যাচ্ছে, তারা হয়ত পরিচয় গোপন করে এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। অথবা তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ার পরও বাড়ির মালিক পুলিশকে কিছুই জানায়নি। সুতরাং পরিচয় গোপন করে জঙ্গিরা যাতে আস্তানা গড়তে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ’ বলেন এসপি।

তিনি বলেন, কোরআন-হাদিসের ব্যাখা দেবেন শুধুমাত্র মসজিদের ইমাম আর হুজুররা। অন্যরা দিলে তাতে অপব্যাখার সুযোগ থাকে। মসজিদের ইমাম-হুজুর বাদে কেউ কোরআন-হাদিসের ব্যাখা দিলে তাদের প্রতি নজর রাখতে হবে। জঙ্গিরা কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখা দিয়ে তরুণ-যুবকদের বিপথে যাতে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

এলাকায় এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং জোরদারের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এসপি।

এসময় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচ এম মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এ কে এম এমরান ভূঞা এবং বিভিন্ন সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হালিশহর পুলিশ লাইনে মাসিক কল্যাণ সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার নূর ই আলম মিনা।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৭, ২০১৬)