বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলীর নাছিম হাওলাদার (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রকে পাঁচ লাখ টাকা মুিক্তপণের দাবিতে অপহরনের ২০ ঘন্টা পর পুলিশ উদ্ধার করেছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ বুধবার বিকালে উপজেলার তুষখালী গ্রামের অপহরনকারীর নিকট আত্মীয় দুলাল আকনের বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ মুল অপহরণকারী বখাটে সোহেল হাওলাদার (২০) কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার তালতলী থানায় হস্তান্তর করেছে।
উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্র নাছিম তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িযা ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। সে স্থানীয় লাউপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে লেখা পড়া করছে।
থানা সূত্র ও অপহৃত স্কুল ছাত্রের বাবা আব্দুল খালেক জানান, তালতলী উপজেলার তাঁতীপাড়া স্কুল ছাত্র নাছিম কে একই ওই গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে সোহেলের নেতৃত্বে ৫ জনের একটি অপহরণকারী দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাইপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে। এরপর নাছিমকে অপহরণকারী সোহেল পার্শবর্তী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী গ্রামে তার এক নিকট আত্মীয় দুলাল আকনের বাড়িতে আটকে রাখে। পরে নাছিমের বাবার কাছে মোবাইল ফোনে (নম্বর ০১৭১৪১৭৮৯০৩) পরিবারের কাচে লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। বিষয়টি স্কুল ছাত্রের স্বজনরা গোপনে মঠবাড়িয়া থানায় খবর দেয়। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ বুধবার বিকালে অপহৃত স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত অপহরণকারী সোহেল হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ।
তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী সাংবাদিকদের নাছিমকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির কথা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন টাকার জন্যই সোহেল প্রতিবেশী নাছিমকে অপহরণ করেছিল।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন মল্লিক অপহরণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রকে তালতলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজান জানান,এঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রের বাবা আব্দুল খালেক হাওলাদারের আটককৃত সোহেলকে প্রধান আসামী করে গতকাল বৃহস্পতিবার তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এমএইচ/এএস/জুন ১২, ২০১৪)