মাদারীপুর প্রতিনিধি :দেশের আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের জন্য  প্রতিটি নাগরিকের সুস্বাস্থের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। সুস্বাস্থের জন্য রোগ ও এর প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দরিদ্র জনগোষ্টির আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ”আশা” প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসুচী এখন সারা দেশে এক যোগে পালিত হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আশা মাদারীপুর সদর উপজেলার ৬টি ব্রাঞ্চের ৩০ জন মাঠকর্মীর মাধ্যমে প্রতিটি দল ও সমিতিতে ১৫ থেকে ২০ অক্টোম্বর পর্যন্ত “চিকিৎসা সংক্রান্ত কুসংস্কার” নিয়ে সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার সচেতনতামূলক কর্মসূচীতে আশা-মাদারীপুর সদর-১ ব্রাঞ্চের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর -১ ব্রাঞ্চের সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, এসিসট্যান্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. আবি-আব্দুল্লাহ্, লোন অফিসার আনন্দ চন্দ্র পান্ডে।


তথ্য অফিসের উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত


স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, পরিবার পরিকল্পনা, নারী ও শিশু উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ে সরকারের অর্জিত সফলতা জনগণকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীতে মঙ্গলবার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজিত উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার দীপংকর বর, মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

জেলা তথ্য অফিসার দীপংকর বর বলেন, পরিবার ছোট রাখলে সন্তানদের মানুষ করা সহজ হয়। ছেলে এবং মেয়ে শিশুর বিভাজন করা ঠিক নয়। সমান সুযোগ পেলে একটা মেয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মা-বাবার মুখে হাসি ফুটাতে পারে।

তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, পরিবার পরিকল্পনা যৌতুক, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন, নারী ও শিশু উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
আঠারো বছরের কম বয়সী কন্যা শিশু এবং একুশ বছরের কম বয়সী ছেলেদের বিয়ে না দেয়ার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এই প্রিয় দেশকে একটি সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।

উঠান বৈঠকের পরে বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। স্থানীয় কদমবাড়ীর প্রধানশিক্ষক অসীম বিশ্বাসসহ নানা পেশাজীবীর মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।




(এএসএ/এস/অক্টোবর ১৮, ২০১৬)