হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : হালুয়াঘাটে ১৮ অক্টোবর সকালে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট মেরীস্ বালিকা  উচ্চ বিদ্যালয়ের এর ছাত্রীরা দখল করলো দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হওয়া বিদ্যালয়ের সম্পত্তি। জানা যায় ১৯২৯ সনে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার পর ১৯৭৩ সনে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন পার পেটুয়া দিও। যোগদানের পর ১৯৭৮ সনে ৯ জানুয়ারি মনিকুড়া মৌজায় ৪৪৩ নং দলিল মূলে ১.৬৩ একর ভূমি ক্রয় করে বিদ্যালয়ের অর্থায়নে তার নিজ নামে।

পরর্বতীতে বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির নজরে আসলে তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকাকে প্রতিষ্ঠানের নামে লিখে দেওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়। বিগত ১৯৮০ সনের ২২ নভেম্বর ৯৪১৬ নং দলিলমূলে ১.২৪ একর ভূমি লিখে দেন প্রতিষ্ঠানটির নামে সাবেক প্রধান শিক্ষিকা। ০.৩৯ শতাংশ ভূমি ব্যক্তি ব্যক্তি স্বার্থে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বেদখল করেন তিনি। জমিটি উদ্বারে প্রতিষ্ঠান র্কতৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে যার নং- ২৯৮/১১। বিদ্যালয়ের সাথে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ২০১১ সনের ২২ আগস্ট হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যাহার নং -১২।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা কাকলী রাকসাম বলেন, বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেদখল করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করায় ছাত্রীরা ঐক্য বদ্ধ হয়ে অবৈধ স্থাপনাটি গুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকা পার পেটুয়া দিও বলেন দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ৭ অক্টোবর স্থাপনা নির্মাণ করেন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকদের ইন্ধনে তার স্থাপনাটি ভাংচুর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় তার নাতনী রেনু রানী (২৭) আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

(জেসিজি/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০১৬)