চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় শিশু হত্যার দায়ে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন  কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম  কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার বেলা চারটায় চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এ রায় প্রদান করেন। দন্ডিত মোছা. মৌসুমী খাতুন আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মুহা. শামসুজ্জোহা জানান, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার লোকোসেট ফুটবল মাঠ রহমত চক গ্রামের মোহাম্মদ আলী ওরফে গুড্ডুর মেয়ে মৌসুমীর (১৯) বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনের সাথে। জসিমের সংসারে তার প্রথম স্ত্রী রুমা খাতুনের জুই (১ বছর তিন মাস) নামের একটি কন্যা সন্তান ছিল। জসিম উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী রুমা খাতুনের সাথে জসিম উদ্দিনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর জসিম উদ্দিন দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে মেছা. মৌসুমিকে বিয়ে করে রোয়াকুলি গ্রামে বসবাস করতো। মৌসুমির সাথে বিয়ের একমাস পরই ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর জসিম উদ্দিনের বাড়ির চৌকির ওপর শিশু জুইকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার দিনই জসিমের মা নূরজাহান আলমডাঙ্গা থানায় জসিম উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. মৌসুমিকে আসাামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পরদিন মোছা. মৌসুমি চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আমীনুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এ মামলার তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার এস আই পিয়ার উদ্দিন ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর মৌসুমীকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। এ মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করা হয়।

সাক্ষ্যপ্রমানে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলার একমাত্র আসামি মেছা. মৌসুমিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আদালতের বিচারক চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ শিরীন কবিতা আখতার মামলার আসামি মোছা. মৌসুমির উপস্থিতিতে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর দন্ডিত মোছা. মৌসুমিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।










(টিটি/এস/অক্টোবর ১৯, ২০১৬)