কৃ্ষ্ণনগরের পুতুল


একদিন দৌলতদিয়া ঘাটে নদীর পাড়ে ইতিউতি
তাকাতেই এক ষোড়শী টিপ্পনী কেটে বলেছিল-
কৃ্ষ্ণনগরের পুতুল গলির ভেতর ঢোক, সব তৃষ্ণা
জল হয়ে যাবে।
আতঙ্কের ভেতর সেদিন পাগলিনী ভেবে তাকে
এড়িয়ে এসেছিলাম।
ভাবনার ভেতর আজও কৃ্ষ্ণনগরের পুতুল..
তৃষ্ণার জল হয়ে যাওয়া.. ষোড়শীর ডাক..
ইত্যাকার ধাধারা উত্তর খুজে বেড়ায়।
মনে পড়ে পুরানো দালানের কার্নিশে জোড় শালিকের
আদরের প্রতি একাগ্র দৃষ্টি মেলে গায়ের জমিদার কন্যা
'কৃ্ষ্ণনগরের পুতুল' সম্বোধন করেছিল আমাকে।
কতোকাল সে সম্বোধনটা গালি ভেবে কতোইনা
কষ্ট পেয়েছি।
লাইট হাউজের সেলিব্রেশন পার্টিতে শিল্পীদের সত্তা জুড়ে
পুতুলের আধিক্য দেখে 'কৃ্ষ্ণনগরের পুতুল' এর অর্থ
অংশত বুঝেছিলাম।
কৃ্ষ্ণনগরের পুতুল পট্টিতে পালদের হাতে মানস
অভিব্যক্তির কারুকাজে রঙ্গমঞ্চের কুশীলব
মুখচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছিল।
সেই থেকে ঘোরের মধ্যে আমার নিরন্তর অস্তিত্ব বদলিয়ে
পুতুল হয়ে যাওয়া আর
নিজের ভেতর চিরপুতুল বীক্ষণ।