পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জে এক মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে একজনকে গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় গ্রেফতারকৃত ওই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উপজেলার চকবরখোদা গ্রামে জমিজমা নিয়ে মারামারির মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে মামলা হয়েছে।

মামলা, এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের চকবরখোদা গ্রামের মৃত জাকারিয়া তালুকদারের ৪ পুত্র- নুরুল আমিন, জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন। গত রবিবার সোহরাব হোসেনের সাথে বসতভিটের জমি বিক্রি করা নিয়ে জহিরুল ইসলামের বাকবিতন্ডা হয়।

জহুরুল থানার ওসিকে ঘটনাটি অবগত করলে তাকে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। ওইদিনই ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা দ্বন্দ্ব সংঘাত না হওয়ায় আগামী শনিবার উভয়পক্ষকে বিষয়টি পারিবারিকভাবে আপোষরফার জন্য বলেন। কিন্তু গত বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে সোহরাবের স্ত্রী সুলতানা বেগম বাদী হয়ে ৭জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে থানায় মারামারির মামলা করে। ওই রাতেই পীরগঞ্জ থানার এএসআই মোজাহারুল হক জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে ওই মামলার ২নং আসামী নুরুল আমিন (৬০) বলেন, আমিই পুলিশের হাতে আমার ছোট ভাইকে তুলে দিয়েছি। এখন শুনছি, আমিও আসামী। দুপুরে ওই এলাকায় খবর নিতে গেলে চকবরখোদা গ্রামের রোস্তম মিয়া (৬০), নজির হোসেন (৫৫), কমেলা বেগম (৫৫), বাবু মিয়া (৬০), আব্দুল হকসহ অনেকেই বলেন, কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। ঘটনা তদন্ত না করেই পুলিশ মিথ্যা মামলায় জহিরুলকে গ্রেফতার করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আলফাজ হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়ে দু’পক্ষের ‘এগ্রেসিভ’ মনোভাব দেখিনি। বিষয়টি সমঝোতার জন্য শনিবার (আজ) বসার জন্য বলেছি। এরইমধ্যে মামলা হয়েছে। কিন্তু কোন মারামারি হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে করা হলেও আমি আসামী গ্রেফতার করিনি।

অপরদিকে আসামী গ্রেফতারকারী থানার এএসআই মোজাহারুল হক জানান, ওসি স্যার আমাকে বলেছে আসামী জহিরুল ইসলাম ঢাকায় থাকে, তাকে গ্রেফতার করে আনো। তাই অন্য আসামী গ্রেফতার করিনি। ওসি রেজাউল করিম বলেন, মিথ্যা প্রমানিত হলে মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

রংপুরের সার্কেল বি এএসপি সাইফুর রহমান বলেন, শুনে মনে হচ্ছে এটি মিথ্যা মামলা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা মিথ্যা হলে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(জিকেবি/এএস/অক্টোবর ২১, ২০১৬)