স্টাফ রিপোর্টার : ‘২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সংসদ সদস্য, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান- আপনারা নিজ নিজ এলাকায় কতজন দরিদ্র, গৃহহারা, ঘর নেই, বাড়ি নেই, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী- তাদের তালিকা পাঠান। আমাদের দায়িত্ব তাদের উন্নয়ন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন; তাদের উন্নয়ন হবেই। দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না’।

শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসবাদে-জঙ্গিবাদে ব্যবহার হবে না। এ দেশের ভূখণ্ড সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং প্রতিবেশী দেশের কোনো ক্ষতিতে ব্যবহার করতে দেবো না। সেতুবন্ধনের আর শান্তিপূর্ণ দেশ হবে আমাদের।

শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

দেশে নারীদের সমান অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার। উচ্চ পর্যায়ে সব জায়গায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্বে একমাত্র দেশ আমরা, যাদের সংসদে চারজন নারী। জলবায়ু পরিবর্তনে নিজেদের অর্থায়নে চার্জ ফান্ড গঠন, আইন সংশোধন হয়েছে। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে বনায়ন ৭ থেকে ১৩ ভাগ হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। শূন্যের কোটায় নামাবো। প্রতিটি মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কারিগরি শিক্ষা পাবে। পুষ্টিহীনতা দূর হবে। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছি। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে সবাই, ব্যবস্থা করা হবে সুপেয় পানির।

আমাদের সমস্ত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ উন্নত করা হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। এর নমুনা দেখেছেন বিদেশ থেকে, তাদের ধন্যবাদ। স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো। ক্ষুধামুক্ত যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তার বাস্তব রূপ নেবে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৬)