সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত সরকার নির্ধারিত হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যশস্যর কার্ড বিতরণে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেছেন হতদরিদ্ররা।

জানা যায়, গত ২০ অক্টেবর ০৫ নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের পক্ষ থেকে মোঃ ইচাহাক মোল্যা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সাধারণ সদস্য মোঃ ইয়াদ আলী মোল্যার বিরুদ্ধে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ০৫ নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্রদের সরকার নির্ধারিত কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সরকার ঘোষিত হতদরিদ্র ও ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের নিয়ম থাকলেও বাস্তবে যাদের জমি-জমা এবং অর্থ সম্পদ আছে, তারাই হতদরিদ্র কার্ডের চাল ভোগ করছে। এরমধ্যে বকুল মাতুব্বার, বেলায়েত হোসেন, সেলিম মাতুব্বার, রাজা মাতুব্বার, কাইয়ুম মাতুব্বার, আছাদুজ্জামান, আলম মোল্যা, শাহিদ মোল্যা, আঃ মান্নান, তুরফান মোল্যা, হাফিজ মোল্যাসহ ১০ বছর যাবত বিদাশে আছে এমন লোকের নামেও দরিদ্র কার্ড রয়েছে। সাধারণ সদস্য মোঃ ইয়াদ আলী নিজেই এই অনিয়ম করেছেন। শুধু তাই নয় কাকদি বাজারের তার নিজের দোকানে ১০ টাকা কেজি চাউল নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ০৫ নং ওয়ার্ডের আজলপুটি গ্রামের হতদরিদ্র ও ভূমিহীন ৫ সন্তানের জননী বিধবা রমেছা বেগম হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যশস্য ১০ কেজি চাউলের কার্ড থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এছাড়াও হতদরিদ্র অনেকেই সরকারের বরাদদ্দকৃত এই রেশন কার্ড থেকে বাদ পড়েছেন। এটা ইউপি সদস্য ইয়াদ আলী স্বজনপ্রীতির জন্য দরিদ্রদের বাদ দিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইয়াদ আলী মোবাইল ফোনে এপ্রতিনিধিকে বলেন, আমি এখন ব্যাস্ত আছি, রাতে আপনার সাথে কথা বলবো।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএনএইচ/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৬)