স্টাফ রিপোর্টার : শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একইসঙ্গে গ্রামীণ শিশুদের পরিমিত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) কর্তৃক আয়োজিত ১৯তম দ্বি-বার্ষিক এবং ৪র্থ আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৪ ও ৫ নং সূচকে শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের অর্জন বিস্ময়কর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এ অনন্য অর্জনের জন্য জাতিসংঘ থেকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে গর্ভবতী মায়েদের পরিচর্যা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

স্পিকার বলেন, নবজাত শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন এবং এর ফলে দেশ ও বিদেশে শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে। এ সময় বাংলাদেশে স্বতন্ত্র পেডিয়াট্রিক ফ্যাকাল্টি ঘোষণার আহ্বান জানান।

প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, সেভ দ্য চিলড্রেনের জয় রিগস পার্লা, প্রফেসর ডা. হামিদুর রহমান, প্রফেসর ডা. ইয়াকুব জামাল এবং প্রফেসর ডা. এম এ কে আজাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৪, ২০১৬)