স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা বিপুল ঘোষের শারীরিক অবস্থার ক্রমান্নতি অব্যাহত রয়েছে। আজ সোমবার তিনি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে  নিজেই হেঁটেছেন এবং হেঁটে হেঁটেই বাথরুমে যাতায়াত করেছেন।

আজ সন্ধ্যায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে বিপুল ঘোষকে দেখতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও রাজনৈতিক সহচর শামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে, উনসত্তুরের গণ আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা, ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস এম এম শাহরিয়ার রুমী। তিনি বেশ কিছু সময় বিপুল ঘোষের পাশে থাকেন ও তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এসময় বিপুল ঘোষের চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমান্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর খাওয়াদাওয়া ও কথাবার্তা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি হাঁটাহাঁটিও করছেন।সবকিছু এমন থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেঁড়ে দেওয়া হতে পারে। ছেঁড়ে দেওয়ার পাচদিন পর একটি রুটিন চেকআপের জন্য বিপুল ঘোষকে একবার হাসপাতালে আসতে হবে।

বিপুল ঘোষের ভাতিজি এডভোকেট ছন্দা ঘোষ জানান, আজ তার কাকুকে বেশ ফ্রেশ ও স্মার্ট লাগছে। তাঁকে বেশ হাসিখুশি লাগছে। অনেক দিন তাঁর মুখে এমন হাসি ছিল না। তবে তিনি বুকে সামান্য ব্যথা ও হালকা শ্বাসকষ্ট বোধ করছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সেবা কর্মীরা জানিয়েছেন, এখন বুকে সামান্য ব্যথা ও হালকা শ্বাস কষ্ট অনুভব করা স্বাভাবিক ও সাময়িক।কিছুদিন পরে আর সেই সব থাকবে না।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে ভর্তি হন বিপুল ঘোষ। প্রফেসর ডা. মাসুম সিরাজ ৫ অক্টোবর তাঁর হৃদপিণ্ডে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করবেন বলে স্থির হয়। কিন্তু বিপুল ঘোষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৫ অক্টোবর ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা যায়নি। পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসার পর ১৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে হৃদপিণ্ডে অপারেশনের মাধ্যমে ভাল্ব প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বিপুল ঘোষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ অক্টোবরও তাঁর হৃদপিণ্ডে অপারেশন করা যায়নি। পরে ১৮ অক্টোবর বিপুল ঘোষের হৃদপিণ্ডে সফলভাবে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়।

(পিএস/এএস/অক্টোবর ২৪, ২০১৬)