ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় অপহরন মামলার দায়েরের  ৩ মাস পর ত্রিশালের কামনা রানী (১৭) কে সোমবার উদ্বার করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান সোমবার তাকে ময়মনসিংহ বাইপাস মোড় এলাকা থেকে উদ্বার করে।
     

গত ২৩ জুলাই কামনা রানী অপহরন হয়েছে মর্মে তার পিতা উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গোপালপুর কাশীগঞ্জ বাজারের মানিক চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় ২৪ জুলাই প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব (২৩)এর নামে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ছেলে রাকিব পরিবার পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া। পুলিশ শুধু আসামী রাকিব নয় বরং তার পরিবারের সদস্যদেরকেও হয়রানি করে আসছিল। উদ্দারের পর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।

ত্রিশাল থানা পুলিশ কামনা রানীকে তার বাবামায়ের সামনে হাজির করলে সে তার বাবা মায়ের মায়ের সাথে যেতে অসীকৃতি জানায়। এবং সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আমি আমার স্বামীকে নিয়ে অনেক সুখে আছি। আমাকে বা আমার স্বামীকে যেন কউে হয়রানি না করে। উদ্বার হওয়া কামনা রানী আরও জানান-রাকিব আমাকে অপহরন করেনি। রাকিবের সাথে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল, তাকে ভাল বেসেই আমি স্বেচ্ছায় রাকিকের কাছে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ইসলামী শরীয়ত মতই বিয়ে করে ঘর সংসার করছি এবং আজীবন রাকিবের সংসারই করতে চাই। আমি মুসলমান হয়ে আমার নাম রেখেছি নাছিমা খাতুন।

এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান-কামনা রানীর বাবা মানিক চন্দ্রের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই ৩ মাস দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবশেষে সোমবার কামনা রানীকে উদ্বার করেছি। উদ্বারের পর কামনা রানীর বাবা মাকে ত্রিশাল থানায় উপস্থিত করে কামনা রানীকে তার বাবামার কাছে যেতে বললে কামনা রানী কোন কথা না শুনে তার বাবা মার কাছে যাবেনা বলে পরিস্কার জানায় এবং সে তার স্বামী রাকিবের কাছেই যাবে বলে জানালে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার পর তার জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করার জন্য আদালতে প্রেরন করা হবে।

(এমআরএন/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)