প্রবীর সিকদার


ধর্মের জিগির তুলে হিন্দুদের ঘর বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা লুটপাট এই দেশে নতুন নয়। এই অপকর্ম করবার চক্রটিও সুনির্দিষ্ট ও সংখ্যালঘু। কিন্তু পরিচয়ে ধর্মীয় সংখ্যাগুরুর তকমা থাকায় তারা অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য। তথাকথিত পক্ষ-বিপক্ষের আস্কারা পেয়ে পেয়ে ওই চক্রটি তাদের গন্তব্যের দিকে ঠিক ঠিক এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রদায়গত এই ভণ্ডামি এখন মূলত একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে গেছে। লাভক্ষতির হিসাব কষতে গিয়ে অনেকের পক্ষেই বিবেক সচল রাখা সম্ভব হয় না। চোখ বন্ধ রেখে আর  বিবেককে অচল করে যদি মোটা লাভের স্বাদ পাওয়া যায়, মন্দ কি!

আওয়ামীলীগ যখন বিরোধী দলে থাকে তখন এ ধরণের অপকর্মের ঘটনা ঘটলেও ভুক্তভোগীরা নিজেদেরকে খুব বেশি অসহায় বোধ করেন না। তখন সামাজিক শক্তি হিসাবেই আওয়ামীলীগ ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু আওয়ামীলীগ যখন সরকারে থাকে তখন সামাজিক শক্তি হিসেবে তারা ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ায় না কিংবা দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতার বিষয়টি বিভ্রান্তির জালে আটকা পড়ে; তখন তাদের ভাবনায় কাজ করে, 'এটা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করে মাঠ গরম করলে তো আমাদের সরকার চাপে পড়বে কিংবা বিপদে পড়বে'! এছাড়া আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারীরাও কখনো কখনো ক্ষমতার বলয় ব্যবহার করে ওই অপকর্মটি করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ নিজেও ওই অপকর্ম এড়িয়ে পরিত্রাণের পথ খোঁজে। আবার কখনো কখনো যে তারা লাভক্ষতির হিসাব করে নিরবতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন না, তা কিন্তু নয়! ফলে ভুক্তভোগীরা ক্ষমতার আওয়ামীলীগকে তেমন একটা কাছে পায় না; ফলে হুমকির মুখে পড়ে মানবতা। আওয়ামীলীগ এখন ভোটের হিসাবেও পাকা !

আর বিএনপি জামায়াত! বিএনপি জামায়াত তো তাদের সৃষ্টি করা এই ইস্যুতে ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াবেই না; কারণ আখেরে এর সুফল ভোগ করবে তো বিএনপি জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিই।