ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের মরহুম সাদি বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বাস কৃষি খামারের মালিক হাসিবুর রহমান বাঘা বিশ্বাস কলা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ লাগিয়ে লাভবান হয়েছেন। তিনি তার তিন বিঘা জমিতে কলা বাগানের সারির ফাঁকা জায়গাতে লাগিয়েছন হলুদ। বাগানের কলা গাছগুলো হয়েছে যেমনি পুষ্ট, তেমনি হলুদেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। বাঘা বিশ্বাস নিজ খামারে সাথী ফসল করে এলাকার অন্যান্যদেরও খামারে সাথী ফসল চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন।

বাঘা বিশ্বাস জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কলা বাগানের সাথে সাথী ফসল করে একই জমিতে তিনি দুইটি ফসল পাবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে অনেক চাষিই কলার বাগান করে থাকেন। কলা গাছের সারিতে জমিতে অনেক জায়গা ফাঁকা পরে থাকে। এই ফাঁকা জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে অনেক কিছুই লাগানো যায়। আর সাথী ফসল করলে বাড়তি মুনাফা লাভ করা যায়। আগামীতে তাঁর খামারটি প্রসারিত করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ইচ্ছের কথা তিনি জানিয়েছেন। চাকরির পেছনে না ঘুরে কলা এভাবে বাগান করে করেই স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায় বলে তিনি মনে করেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, বক্তারপুরের হাসিবুর রহমান বাঘা বিশ্বাস কলা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ লাগিয়ে লাভবান হয়েছেন। কলা বাগানে সাথী ফসল করে বাঘা বিশ্বাস এখন ঈশ্বরদীর একজন মডেল চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বাঘা বিশ্বাস একই জমি থেকে পাবেন কলা, সেই সাথে বাড়তি ফসল হিসেবে পাবেন অর্থকরী ফসল হলুদ। এটি আধুনিক চাষাবাদ ব্যবস্থা,তাই একেই বলে এক জমিতে দুই ফসল। এভাবে তাঁর খামারের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারলে আগামীতে আরও ভালো করবেন বলে কৃষি কর্মকর্তা আশা পোষণ করেন।

(এসকেকে/এএস/অক্টোবর ৩১, ২০১৬)