ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজারের এক নম্বর গেটের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি মানববন্ধন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন শতাধিক বাড়িতে একযোগে হামলা, ভাংচুর এবং মন্দির ধ্বংসের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সমাজের ক্রমাগত সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখলের জন্য এক শ্রেণীর মানুষের লোভকে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের মূল কারণ হিসেবে বক্তারা চিহ্নিত করেন।

পূজা উদযাপন পরিষদের ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি সুনিল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি রমেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, হিন্দু ,বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের ঈশ্বরদীর সাধারণ সম্পাদক বিমল চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা শাখার সম্পাদক গনেশ সরকার, সহ-সভাপতি কমল কর্মকার, পৌর কমিটির সভাপতি বাবু পান্ডে, সম্পাদক অনন্ত কর্মকার প্রমুখ।

এসময় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, শিল্প ও বণিক সমিতির নেতা শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম পুনো, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্পাদক ইমরুল কায়েস দারা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সভাপতি কবির আলী হিরু এবং পৌর কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব।

এসময় বক্তারা বলেন, একের পর এক এরকম ঘটনা ঘটিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে এদেশে জঙ্গি-তালেবানি স্টাইলের রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই এসব হামলার মূল উদ্দেশ্য।

মানববন্ধন থেকে (১) ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, (২) দোষি ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, (৩) পুলিশ ও প্রশাসনের দায়িত্বহীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, (৪) সরকারি অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘর মন্দির পুন: নির্মাণসহ যথাযথ ক্ষতি পূরণ প্রদান এবং (৫) এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থার পরিবেশ তৈরির জন্য জোড়ালো রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

(এসকেকে/এএস/নভেম্বর ০৪, ২০১৬)