প্রবীর সিকদার


প্রায় একই সময়ে একই রকমের দুটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন নাসিরনগরের রসরাজ দাস, যেখানে একটি বিকৃত ছবি পোস্ট করে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফেসবুকে আর একটি পোস্ট করেছেন চাটমোহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বুলবুল, যেখানে হিন্দু দেবদেবী সম্পর্কে অশ্লীল কথা লিখে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

রসরাজের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে ব্যাপক তাণ্ডব, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এমনকি দেশ কাঁপানো ওই নৃশংস হামলার পরও শুক্রবার ভোরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের চোখকে ফাঁকি সেখানে আরেক দফা বর্বর হামলা হয়েছে। রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আর জহুরুল ইসলাম বুলবুলের পোস্টে চাটমোহরে কোনও প্রতিক্রিয়া না হলেও পুলিশ আগাম সতর্কতা হিসেবে শিক্ষক বুলবুলকে আটক করেছিল। কিছু সময় পরে অবশ্য পুলিশ থানা থেকেই ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়।

দুই জন একই পথে যাত্রা করে করেছিলেন। দুই জনের অপরাধ একই রকমের। আবার দুইজন একই ভাবে বলেছিলেন, ওই পোস্ট তাদের নয়; কে বা কারা যেন তাদের ফেসবুক একাউণ্ট হ্যাক করে ওই পোস্ট দিয়েছে। কিন্তু ফল পেলেন দুইজন দুই রকমের। একজন পুলিশ রিমান্ডে, আরেক জন মুক্তি। তাহলে কি ঝামেলাটা নামেই? একজন রসরাজ দাস, আরেকজন জহুরুল ইসলাম !