কিশোর কারুণিক
......................................................

অবশেষে আলো ফুটলো
যন্ত্রণা হতাশা চমকে গেল।

আমি ফিরে এলাম
আমার শেঁকড়ের কাছে
প্রিয় স্বদেশের কাছে
আকাশের কাছে, বাতাসের কাছে
প্রিয় মানুষের কাছে।

ফিরে এসে দেখলাম
শেকড়ে ঘুণ ধরেছে
স্বদেশ ক্ষত বিক্ষত
আকাশে বিস্ময় চাহনি
বাতাসে বিষ
প্রিয় মানুষদের ভেতর
কেউ লাশ
কেউ কেউ আহাজারিতে রত।

নষ্ট উদ্দেশ্য নষ্ট পরিকল্পনা
আজ নষ্টদের মগজে বাড়বাড়ন্ত,
এখন চারিদিকে ভয় ভয়
কখন কী হয়
সভ্যতার পাটাতনে
এখনো অসভ্যতার অট্টহাসি
কেউ ভাল নেই
ভাল থাকতে দেওয়া হয় না
ভাল থাকার সময় যেন এখন নয়!


আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে
আমরা বাঁচার মত বাঁচব
না নষ্টদের কাতারে সামিল হবো।

যদি আমার কথা বলি
আমি বাঁচার মতো বাঁচতে চাই
মানুষের মতো মানুষ হতে চাই
মানুবিক গুণাবলীতে
সভ্যতার উন্মেষ দেখতে চাই।

আমি উচ্চস্বরে বলতে চাই
হে নষ্টরা
যেও না আর অন্ধকারে
আলোয় এসো
ছায়া নিবিড় বকুল তলায় বসো
চেয়ে দেখ, চেয়ে দেখ
তোমার পানে সভ্যতা
তোমার পানে অবিরল ঝরণা ধারা
তোমার সামনে প্রকৃতির মায়াবেশ!

না ফিরলে সামনে ধূসর ভবিষ্যৎ!

ফিরে এসো
এসে সামিল হও মানবিক পাঠশালায়
আর নয়, আর নয়, আর নয় সন্ত্রাস
আর নয় হিংসা
এসো ফুলের চাষ করি
নিজেকে মেলে ধরি
সভ্যতার উন্মেষে সত্য সুন্দরে
সাম্যের কেতন তুলে ধরি।