সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে আলোচিত এই ঘটনার এক মাস পাঁচদিনের মাথায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ ফৌজধারী কার্যবিধির ৩২৪/৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে ৩৬ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ চার্জশিট প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ মামলায় একমাত্র বদরুলকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর বদরুল নিজে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলোক জবানবন্দিও দিয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) তৌহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর এই মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতে চার্জশিট উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে শাবির অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। হামলার পরপরই বদরুলকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বদরুলকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ৪ অক্টোবর এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের শাহপারান থানায় মামলা দায়ের করেন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস। ৫ অক্টোবর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বদরুল।

কলেজছাত্রী খাদিজার উপর প্রকাশ্যে এই বর্বর হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বদরুলের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি ওঠে সর্বত্র। দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে সরকারের উচ্চ মহল থেকেও বদরুলের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়া হয়।

হামলার পর খাদিজাকে উদ্ধার করে প্রথমে ওসমানী হাসপাতাল ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ১৩ অক্টোবর খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। খাদিজার অবস্থা এখন উন্নতির পথে। সরকারের পক্ষ থেকে খাদিজার চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হচ্ছে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৮, ২০১৬)