স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি হল মিথ্যার উপরে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিনিয়ত দলটি দেশে-বিদেশে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। এ তিনি বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘চলমান রাজনীতি-রোল মডেলের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়া আফগান ফেরত জঙ্গিদের নিয়ে রাজনীতি করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের যেসব বিদেশি প্রভুদের কাছে ধর্না দেয় তারাও এখন বিএনপির ওপরে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কারণ এইসব বিদেশি প্রভুরা বুঝেছে যে দলের চেয়ারপারসনের বাসার সামনে একশজন কর্মী ও জড়ো করতে পারে না, যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গ্রেফতারের ভয়ে মাথায় হেলমেট গুজে মুখ লুকিয়ে জনসভায় যায়, যে দলের নেতারা বোরকা পরে আদালতে হাজির হয়, তাদের দিয়ে কিছুই সম্ভব নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ৩০ মে সার্কিট হাউসে জিয়ার পাশের রুমেই তিনি ছিলেন। অথচ হত্যাকাণ্ডের সময় তার রুমে খুনিরা দরজায় একটা কড়া পর্যন্ত নাড়েনি। এর রহস্য কি? আবার সেই বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি বানান। খালেদা জিয়া তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও তার স্বামীর হত্যার বিচার করলেন না কেন? কারণ খালেদা জিয়া জানেন কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসবে।

বিগত ৫ বছরের মত বর্তমানেও বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২০০ ডলারের কাছাকাছি। ২০০৯ সালের শুরুতে তা ছিল মাত্র ৬০০ ডলারের মতো। রপ্তানি আয় ২৭ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৯ সালে যেখানে দেশের মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশের উপরে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করত বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আওয়ামী নেতা আতাউর রহমান শামীম প্রমুখ।

(ওএস/এটিআর/জুন ১৩, ২০১৪)