শেরপুর প্রতিনিধি :শেরপুর জেলা শহরের উপকন্ঠে মৃগি নদীর তীরে ৩ দিনের জেলা ইজতেমা আজ ১২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১২ টায় আমিন আমিন ধ্বনিতে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।

প্রায় আধাঘন্টার এ মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমায় আগত তাবলিগ জামায়াতের মুসুল্লি ছাড়াও সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা ভির করে ইজতেমা ময়দানের আশ-পাশের প্রায় এক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর পাড়, খোলা মাঠ, ধান ক্ষেত’র পাশে।

ইজতেমা ময়দানে সর্বমোট প্রায় একলাখ লোকের সমাগমের ব্যবস্থা করা হলেও মোনাজাতে অংশ নেয় প্রায় ৩ লাখ মানুষ। ইজতেমার ময়দান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দুরের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে শত শত মহিলা অবস্থান নেয় মোনাজাতে অংশ নিতে। মোনাজাতে স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক ড: এ এম পারভেজ রহিম, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, জাতীয় পার্টি’র সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইলিংয়াছ উদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও সরকারী বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেয়।

এসময় জেলা-দেশ এবং বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নানা নির্যাতন এবং জুলুম থেকে মুক্তি’র জন্য দোয়া করা হয়। সেইসাথে ইসলামের নাম করে যারা মুসলমানদের বিপথগামি করছে তাদের ধ্বংস করার জন্য আল্লার কাছে প্রার্থনা করা হয়। আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মার্কাসের মুরুব্বী মাওলানা ওমর ফারুক। মোনাজাতের আগে একটি যৌতুকবিহীন বিয়েও পড়ানো হয়। ইজতেমা থেকে ৬৮টি জামাত বের হয়ে যায় বলে তাবলীগের জিম্মাদাররা জানান।

এদিকে প্রশাসন থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে মুসুল্লিদের চালাচলে সুবিধার্থে সকাল থেকেই দিন ব্যাপী শহরের থানা মোড় থেকে মৃগি নদীর অষ্টমি তলা মোড় হয়ে শহরের প্রধান সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান থেকে শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মুসুল্লিদের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন ব্যবসসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা মোনাজাতে অংশ নেয়ার কারণে বেলা ২ টার পর্র্যন্ত শহরের বেশী ভাগ দোকান-পাঠ বন্ধ থাকে। এসব দোকান-পাঠ মোনাজাত শেষে খুলতে থাকে। এছাড়া জেলা শহরের বাইপাস সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঢাকা-শেরপুর-শ্রীবরর্দী-বক্সীগঞ্জ-রৌমারি-রাজিবপুর সড়কের দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচলে কয়েক ঘন্টার জন্য ব্যাহত হয়।





(এইচবি/এস/নভেম্বর ১৩ ,২০১৬ )