শরীয়তপুর প্রতিনিধি :শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার মামলায় অভিযুক্ত ৪ বখাটেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার সকালে শরীয়তপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে বিচারক শেখ মো. মুজাহিদুল ইসলাম তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। আসামীরা হলো শামীম দেওয়ান, আমির দেওয়ান, আরিফ দেওয়ানও আবুল হোসেন মুন্সি।

স্থানীয় সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক জেএসসি পরীক্ষাথীকে দীর্ঘ দিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিল তুলাসার ইউনিয়নের উপরগাও মৌজার সালাম দেওয়ানের ছেলে বখাটে শামীম দেওয়ান। গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আঙগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে জেএসসির শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপরগাও ভাঙ্গা রাস্তার কাছে পৌঁছালে শামীম তার অপরাপর সঙ্গীদের নিয়ে ফের ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাকে নানভাবে উত্যক্ত করতে থাকে । তার মোবাইল নাম্বার চায় এবং এক পর্যায়ে তাকে টানা হেঁচড়া করতে থাকে। এর প্রতিবাদ জানালে বখাটে শামীম ও তার দলবল ওই মেয়েটিকে মারপিট করে। ইতোমধ্যে মেয়েটির অপর সহপাঠিরা এসে প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাদেরও বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এতে ৪ জন ছাত্রীসহ মোট ১৪ শিক্ষার্থী আহত হন।

আহতরা হলেন ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, মাসুদ, শরীফ, শাহাজালাল, সাইফুল, শিশির, কাওসার, আবু সিদ্দিক এবং কালু আহত হয় । তাদের মধ্য থেকে ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, সাইফুল, কাওসার ও মাসুদকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১০ তারিখ রাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল মিয়া বাদী হয়ে সালাম দেওয়ানের ছেলে শামীম দেওয়ান, আজিজ দেওয়ানের ছেলে আমির দেওয়ান, মোখলেছ দেওয়ানের ছেলে আরিফ দেওয়ান, দিলু মুন্সির ছেলে আবুল মুন্সির নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

চার দিন পলাতক থাকার পর সোমবার চুপিসারে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল মিয়া বলেন, আসামীরা আদালতে হাজির হবে এ খবর আমি আগে জানতে পারিনি। তবে তাদের জামিন ক্যান্সেল হবার পরে শুনেছি বখাটেদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহল তাদের এই মামলা থেকে রক্ষা করেত উঠে পড়ে লেগেছে। আমি আইনের কাছে দোষীদের উপযুক্ত বিচার প্রার্থণা করছি।

(কেএনআই/এস/নভেম্বর ১৪, ২০১৬)