রানীশংকৈল( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :পরীক্ষা সকাল ১০টায় অথচ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে দেখা যাচ্ছে তারা সকাল ৯টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তারা জানান,রাস্তার অবস্থা খারাপ সকাল বেলা তারাহুড়া করে আসতে গিয়ে অনেকে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন তাই আমরা জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নিশ্চিয়তার জন্য আগে আসা।

ঠিক এই ধরনের অনেক শিক্ষার্থীদের সমস্যা এমন অভিযোগ উঠার পরে বুধবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের ২য় গেটের বিপরীত হয়ে প্রায় ১ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত রানীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি বর্তমানে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। ঐ পরীক্ষা কেন্দ্রে ২৬ টি বিদ্যালয়ের মোট ১০৯৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে অন্যদিকে মাস দুইয়েক পরে ঐ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । প্রত্যক পরীক্ষাই অভিভাবক পরীক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলে ভাঙ্গা চুড়া রাস্তাটি এক মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির এমন অবস্থা যেন যে কোন মূর্হর্তে গাড়ী পাল্টি খেয়ে যেতে পারে,রাস্তাটির খোয়া পিচ উঠে বিশাল বিশাল খাল খন্দে ভরে গেছে । রাস্তাটির পাশে অবস্থিত সুমি হোটেলের স্বত্তাধিকারী মিন্টু মিয়াকে লাঠি হাতে স্বেচ্ছায় ট্রাফিকের ন্যায় কাজ করতে দেখা গেছে ।তিনি জানান, আমি প্রত্যক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে যে সমস্ত গাড়ি এ দিক দিয়ে যাতায়াত করে তাদের নিয়মনাুসারে এবং ধীরে ধীরে লাইনে লাইনে যাওয়া আসার জন্য সহযোগিতা করি। গাড়ী গুলোর এক চাকা খালের নিচে আরেক চাকা ডাঙ্গার উপরের মত অবস্থা হয় এই সড়কে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবক মহলের কয়েকজন জমিরুল সালাম লিয়াকত বলেন,কারোই যেন এ রাস্তাটি চোখে পড়ে না। পড়ে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের, তারা আরো বলেন জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের লোকজনতো আসেন বড় গাড়ীতে চড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ইচ্ছেমত তাদের তো গায়ে লাকবেনা এটা সত্য কিন্তু আমাদের প্রায় প্রত্যক পরীক্ষাই আসতে হয় ,এখন মনে হয় প্রশাসনের জন্য জনগণ,জনগণের জন্য প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নয়।

এ বিষয়ে সচেতনমহল বলেন,আমাদের উপজেলায় ২ জন এমপি ঠাকুরগাও-৩ আসনের ইয়াসিন আলী,মহিলা সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সেলিনা জাহান লিটা তাদের বাড়ী। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে রাস্তাটি দিয়ে প্রায় প্রতিনিয়িত যাতায়াত করেন এমপি ইয়াসিন আলী,অন্যদিকে রাস্তাটির দক্ষিণ প্রান্তে মহিলা সংরক্ষিত এমপি সেলিনা জাহান লিটার বাড়ী,তারা দেখে যেন না দেখার ভান করে চলছেন।

অন্যদিকে একটি সূত্রে জানা যায়, এ রাস্তাটি পৌরসভার আওতাধীন, রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্ব পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের। আর যাই হোক দায়িত্ব যারেই হোক রাস্তাটিতে প্রাথমিকভাবে চলাচলের জন্য এক ট্রলি রাবিশেও ফেলাননি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রশাসন। সচেতনমহলের বক্তব্য আমাদের উপজেলা পরিষদে দেখি এখন মাঝে মধ্যেই গান বাজনার আয়োজন চলে এ আয়োজন নাকি ইউএনও খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসানের পরিচালনায়,এ আয়োজনের অর্থ কোথা থেকে আসে তা আমরা জানতে চাই না কিন্তু তিনি নিজেও দায়িত্ব করে রাস্তাটির কোন ব্যবস্থা নেননি কেন এটি আমাদের প্রশ্ন তারা বলেন একজন পরীক্ষার্থী যদি এই রাস্তার কারনে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে এর দায় ভার প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিতে হবে বলে তারা হুশিয়ারি দেন।

এ ব্যাপারে মেয়র আলমগীর সরকার বলেন, রাস্তাটি আগামী বাজেটে সংস্কার করা হবে, আপনারা যেহেতু জানালেন আমি রাস্তাটিতে প্রাথমিকভাবে রাবিশ ফেলানোর ব্যবস্থা করছি।








(কেএএস/এস/নভেম্বর ১৬, ২০১৬)