গাইবান্ধা প্রতিনিধি : অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে পাঠানো ত্রাণ গ্রহণ করেছেন গাইবান্ধায় হামলার শিকার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের বড়জয়পুর গ্রামে পরিত্যক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের সামনে এই ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহম্মদ আলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল হক।

সূত্র আরো জানায়, পরিবার প্রতি ২০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলু, এক কেজি লবণ ও দুটি করে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। মোট ১৫০ পরিবার এই ত্রাণ পাবে।

এর আগে গত সোমবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হান্নান সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজনদের ত্রাণ দিতে গেলে তাঁরা নেননি। কারণ, তাঁদের অভিযোগ, ইউএনওর নির্দেশে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে, সেই ইউএনওর হাত দিয়ে ত্রাণ বিতরণ মশকরা ছাড়া আর কিছুই না।

এ ব্যাপারে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষু খামার ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমিন বাস্কে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সরকারের কথা হয়েছে। সেখানে সরকারের লোকজন আমাদের পুনর্বাসনের ও হয়রানি না করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর ত্রাণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।’

উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন এবং গুলিবিদ্ধ হন চারজন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন। এ ঘটনায় শুধু পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় ওই রাতে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করা হয়। গত সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় চারজন সাঁওতালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

(ওএস/এস/নভেম্বর ১৬, ২০১৬)