কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, অপকর্ম করবেন না, যখন ক্ষমতায় থাকবেন না জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ জবাব দেবে। যারা অন্যায় অপকর্ম করবে আগামী নির্বাচনে তাঁদের কপালে মনোনয়ন জুটবে না।

পাশাপাশি ভিতর কোন্দল ও বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। শেখ হাসিনার নির্দেশনা নিয়ে এসেছি, আগামী নির্বাচনে জয়ী দলকে শক্তিশালী ও জেতাতে এখনই মাঠে নেমে পড়েন।
বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার সরকারি কলেজ মাঠে এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন নালিস পার্টি। তাদের কর্মসূচী এখন নালিস করা। দেশ ও জনগণের কোন আস্থা নেই। এ কারনে তারা ভারতের নির্বাচনে মোদি জয়লাভের পরদিন ভারতীয় দুতাবাসের দরজা খোলার আগে বিএনপির শতশত নেতা মিষ্টি ও ফুল নিয়ে দরজার সামনে হাজির হয়ে যান। দিল্লির মসনদে মোদি, আর বিএনপি ঢাকায় বসে জগাই, মাধাই নৃত্য করে। এবার আমেরিকার নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের মাঝে শোরগোল পড়ে গেল হিলারি জিতে গেল, হিলারি জিতে গেল। তবে মাঝখান থেকে হিলারির ওপর ট্রাম্প ডোনাল্ট ট্রাম্প। ঢাকায় মণমণ মিষ্টি মিষ্টি রেডি ছিল। তবে এবারো হতাশ হতে হলো বিএনপিকে।

তিনি মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি কুষ্টিয়া এসে দেখে যান। জনগণ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। তাই শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার, উন্নয়নে দরকার, শেখ হাসিনার সরকার।”

মন্ত্রী এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সাধারণ জগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইয়াবা আমাদের যুব সমাজকে ধবংস করে দিচ্ছে। তাই ইয়াবাকে না বলুন, ইয়াবাকে না বলুন, ইয়াবাকে না বলুন। এ সময় উপস্থিত সবাই হাত তুলে ইয়াবাকে না বলেন।

এছাড়াও মন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ভাবতে পারেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে, মেট্রো রেল হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে। গ্রামের সাধারণ কৃষকরা এখন ইন্টারেনেট ব্যবহার করছে। সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারনে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তাই আমাদের নেতা-কর্মীদের ভাল হতে হবে সবার আগে। বসন্তের কোকিল ও অনুপ্রবেশকারির এখনই কেটে পড়ুন। দলের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না।

এ সময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের জনসভায় হাতাহাতি হয়েছিল। কুষ্টিয়ার নেতারা সব এক মঞ্চে। নির্বাচনের দুই বছর বাকি আছে। তাই মারামারি, দলের মধ্যে বিশৃংখলা ও বিভেদ তৈরি করবেন না।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি এমপি, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ।





(কেকে/এস/নভেম্বর ১৬, ২০১৬)