পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:গতকাল বৃহষ্পতিার। সকাল ১০ টা ৫৪ মিনিট। পীরগঞ্জের বড় আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও অফিস কক্ষে তালা খোলেনি। ওই সময় ছাত্ররা মাঠে মার্বেল খেলছিল। ছাত্রীরা বারান্দায় বসে।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই এক ছাত্র বিদ্যালয়টির পাশেই সহকারি শিক্ষক রেজাউল করিমকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। এসেই তিনি বিদ্যালয়ের অফিস-ক্লাস রুমের তালা খুলে দেন। তিনিই প্রতিদিন বিদ্যালয়ের তালা খোলা-বন্ধের দায়িত্ব পালন করে বলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানায়। এরপর তড়িঘড়ি করে শিক্ষক রেজাউল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। স্থানীয় যুবক- কামরুজ্জামান সুমন, জুয়েল ও হাসান মিয়া জানায়, রেজাউল মাষ্টার না থাকলে স্কুলটিই চলতো না। হেড মাষ্টার (বকুল মিয়া) সপ্তাহে ২/১ দিন আসেন, তাও দেরীতে। স্কুলটি ছুটি হয় ৩টায়, খোলা হয় ১১টায় বলে জানায় তারা। সেখানে থাকাবস্থায় সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও রুমা খাতুন বিদ্যালয়ে আসেন।

জানা গেছে, উপজেলার চতরা ক্লাষ্টারের অধীনে বড়আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৪জন শিক্ষক রয়েছেন। স্কুলের কাছেই সহকারি শিক্ষক রেজাউল করিমের বাড়ী। তার উপর ভরসা রেখেই প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক প্রায়ই দেরীতে আসেন। বিদ্যালয়টিতে দুই সিফটে ক্লাস চলে। প্রথমটি সকাল সাড়ে ৯টায় এবং ২য় শিফ্ট বেলা ১২ টার পর থেকে। কিন্তু গতকাল তা হয়নি। এমনকি জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করা হয়নি। এ রকম প্রায় দিনই দেরীতে স্কুল খোলা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানায়।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, কয়েকদিন আগে উপবৃত্তির জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তথ্য ফরম পুরণের সময় প্রধান শিক্ষক গ্রামীণ সিম সরবরাহ দিয়ে বাধ্যতামুলকভাবে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা করে নেয়। স্কুলে পড়ালেখা কম হয় বলে দাবী করেন তারা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বকুল মিয়া বলেন, আজ ( বৃহষ্পতিবার) সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। তাই দেরীতে স্কুল খোলা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন যথাসময়েই বিদ্যালয় খোলা ও ছুটি হয়। বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হয় বলে তিনি দাবি করেন।

ওই ক্লাষ্টারের সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেরীতে স্কুল খোলার ব্যাপারে জানিনা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল করিম বলেন, ভাই বিষয়টি দেখছি বলেই তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।




পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:পীরগঞ্জে সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় খাদ্য ও পুষ্টি সমিতির মাঝে বিনামূল্যে ১৬টি পাওয়ার টিলার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বৃহষ্পতিবার উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ওইসব কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উদ্বোধন করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম।

এ সময় এক আলোচনা সভায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমীর চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পুষ্টি প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল হালিম মিয়া, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা শেখ শহিদ আব্বাছ, ফজলুল হক ও মোহসিনা আকতার লিসা প্রমুখ। উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ওই সব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। কৃষকরা প্রতিটি পাওয়ার টিলারের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে জামানত প্রদান করেছেন এবং বছরে ভাড়া হিসেবে কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।




(জিকেবি/এস/নভেম্বর ১৭, ২০১৬)