ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাইল হোসেনকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘন্টা পর ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।

তবে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ইসরাইলকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য এ ঘটনার সাথে পুলিশ জড়িত নয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইসরাইল হোসেন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মটরসাইকেল যোগে কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া বাজার থেকে নিজ গ্রামে খামারমুন্দিয়া গ্রামে ফিরছিলেন।

পথের মধ্যে বুজরুকমুন্দিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার কাছে সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী কিছু লোকজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি স্থানীয় হালিমা খাতুন নামে এক ইউপি মেম্বরের বাড়িতে রেখে যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ইসরাইলের ভাতিজা জয়নুদ্দিন ও আনিচ। তারা তার চাচাকে একটি পুলিশ পিকাপ ভ্যানে তুলতে দেখেছেন বলে দাবি করেন আরেক ভাতিজা জামালউদ্দিন।

ইসরাইল হোসেনের ভাই আলহাজ্ব আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, এশার নামাজের পর তার ভাইকে কে বা করা তুলে নিয়ে যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, ইসরাইল একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর রাত ২টার দিকে বাড়িতে পৌছে দেয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ইসরাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়েছিল। সাংবাদিকদের তৎপরতায় আমাকে ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়েছে।


কালীগঞ্জে ষড়যন্ত্রকারীদের মামলায় দুই সাংবাদিকের জামিন !

ঝিনাইদহে পুলিশ ও ষড়যন্ত্রকারীদের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন দুই সাংবাদিক নয়ন খন্দকার ও আরিফ মোল্লা। বুধবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফ আলী তাদের আগাম জামিন প্রদান করেন।

সাংবাদিক নয়ন খন্দকার বলেন, গত ১২ নভেম্বর দিবাগত রাতে স্থানীয় থানা পুলিশ ও কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা ফয়লা গোরস্থান পাড়ার শেখ আব্দুল মালেকের ছেলে মাজেদুল ইসলামকে দিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর, স্বর্ণলংকার ও টাকা পয়সা লুটপাটের একটি কল্পকাহিনী সাজিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে একটি মেয়েলি ঘটনায় পাইকপাড়া গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিষয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেন কালীগঞ্জ থানার এএসআই তহিদুর রহমান।

পরে তাকে থানা হেফাজতে চোঁখ বেধে নির্যাতন করা হয়। এ খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।













(জেআরটি/এস/নভেম্বর ১৭, ২০১৬)