ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও শহরের বসির পাড়া এলাকায় মোবাইলে গালাগালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি পক্ষ অস্ত্রে-স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলামের বাসায় হামলা চালিয়েছে। এতে  আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির বড় ছেলে মামুন জানায়, গত ১৬ নভেম্বর তার ছোট ভাই মুরাদের ফোনে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে গালিগালাজ করে।পরে মুরাদ সেই ছেলেটির খোঁজ পেয়ে শহরের ফাড়াবাড়ী বাসষ্ট্যান্ডে তাকে বকা-ঝকা করে।এ সময় সাদেকুল(স্থানীয় ব্যবসায়ী) তাদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

পরবর্তীতে আবারও বিভিন্ন নাম্বার থেকে ছোট ভাই মুরাদকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। পরে মুরাদ ফাড়াবাড়ী বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে সাদেকুলকে বিষয়টি অবহিত করলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।এ সময় মামুনও ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করেন।সেখানে পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের সা: সম্পাদক আ: মজিদ আপেলের মধ্যস্ততায় বিষয়টি মীমাংসিত হয়।
কিন্তু সেদিন রাতে সাদেকুল ও জয়নাল গোয়ালপাড়া,সেনুয়া ও ঘোষপাড়ার কতিপয় যুবক অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে আমাদের বাসায় হামলা চালায়।এ সময় প্রাণ রক্ষার্থে আমরা তাদের প্রতিরোধ করি।পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এ ঘটনার পরে আবারও তারা গতকাল রাত সাড়ে দশটায় আমাদের বাসায় হামলা চালায়।এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের গেট,ঘরের দরজা,ঘরের টিনের চালায় দা দিয়ে কোপ দেয় এবং ভাঙচুর করে ও বাড়ীর সদস্যদের মারধর করে।

এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ৯জনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি এজহার দাখিল করে ভুক্তভোগী পরিবার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এজহার দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মশিউর রহমান জানান, গতকাল রাতে শহরের বসিরপাড়ায় দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


(এফআইআর/এস/নভেম্বর ১৯, ২০১৬)