আইডেনটিটি কিংবা মাসুদ পথিক’র জন্ম রহস্য

আমার জন্ম বিষণ্নতার গর্ভে, তবে-তো
আমার মায়ের নাম ‘বিষণ্ন দেবী’ কিংবা ‘বিষণ্ন বেগম’!
গ্রামবাসী বলে, এইডা একটা জাওড়ার পুত
এমন-কি আমার মায়ের নাম ‘কান্না’-ও বলে লোকে
ফলে মায়ের সিঁদুর ধুয়ে দেয়া বৃষ্টির পর
আমি বুনোপাখির পাশে বসে কেঁদেছি খুব
গন্তব্যের দিকে কীভাবে যাবো আমি, আমি-যে ভুলো মন
বনের পাখির সাথেই বসে থাকি আজীবন
শুনি অন্তর্লোকে এইসব রক্তে বহমান পাখিবংশের গান
এবং সত্যটা-কী ভাবি, আমপাতায় এই যে কাঁদাখোঁচা পাখি,
তার বিষ্ঠায় আটকে ছিলো বহুকাল এই মাসুদ পথিক
মা বলল, এই আমার হারানো ধন,
এই আমার নাড়িছেঁড়া রক্তের গান
বাকিরা করলো উপহাস, বলল, এতো জারজ সন্তান
ফলে অভিধান খুলে বসে থাকি, এবং পাখির বুৎপত্তি এ্যালবাম
কোথাও পাবো-কি আমার প্রকৃত জন্মসূত্র নামদাম
অনেকেই আজও বলে শুনি, তুই বড় অজাত বর্ণের কেউ-রে
তবে মূর্খ চাষা আমি, শুনি প্লুরালি-পিতার পতন উৎসব
ঝরাআমপাতায় চড়ে ভেসে ভেসে করি অতীত কলরব
মাটিকে বলি রোজ, মা-গো, আমারে একবার কোলে নিবি?
মা, নিবি?