বাগেরহাট প্রতিনিধি  :বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিম বাচ্চু এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে নিয়ে মারপিট করেছে।

সোমবার রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের কুদঘাটা বাজারে ঐ চেয়ারম্যানের তার ব্যাক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচী পালন করছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে ঐ চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এদিন বিকেলে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। অভিযুক্ত ঐ চেয়ারম্যানকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা জানান।

আহত মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী হাওলাদার (৭০) মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।

আহত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী হাওলাদার বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনার শালিস বিচারের কথা বলে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু আমাকে আ. লীগ অফিসে ডেকে নেন। সেখানে গেলে তিনি কোন কিছু বলার আগে চড়-থাপ্পড় মেরে চেয়ার থেকে নিচে ফেলে দেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে নিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি নিজ হাতে মারপিট করা জঘন্য অপরাধের সামিল। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দেওয়া হবে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী হাওলাদারের ছেলে রসুলের সাথে একই এলাকার জামালের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ জানায়। পরে সোমবার রাতে রসুলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী হাওলাদার কে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান মারপিট করে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা চেয়ারম্যানের দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিম বাচ্চুর সাথে মুঠফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।





(এসএকে/এস/নভেম্বর ২২, ২০১৬)