মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর একেকটি একেক রূপে আর্বিভুত হয়। তার মধ্যে গ্রীষ্মকালের জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রকৃতি নিয়ে আসে নানান রকম ফলমূলের সমারোহ। এ মাস এলেই সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ছোট বড় বাজারগুলোতে বসে নানান ধরনের ফলমূলের হাট। এর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত ফলের বাজার কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ও রবিরবাজার।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, ক্রয় করার জন্য বাজারগুলোতে ভীড় করে নানা স্থানের ক্রেতারা। মৌসুমী ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠে ওই সময়টি। আর এই অঞ্চলের মানুষ জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাস বলে থাকে। উঁচু নিচু টিলা আর সমতল ভুমি নিয়ে গঠিত কুলাউড়া উপজেলা মৌসুমী ফসলের জন্য জেলার মধ্যে বিখ্যাত। কুলাউড়ায় উৎপাদিত মৌসুমী ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রেতারা মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন।
কুলাউড়া বাজারের লিচু ও আনারস ব্যবসায়ী ইসকন মিয়া জানান, আমরা উপজেলার মুকুন্দপুর ও জয়চন্ডী থেকে লিচু, আনারস এনে প্রতি ১শ লিচু ১০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং আনারস প্রতি হালি ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। ব্রাহ্মণবাজারের কাঁঠাল ব্যবসায়ী আসাব আলী বলেন, এ বছর মৌসুমী ফসলের ফলন ভালো হলেও ক্রেতা বিক্রেতা কম, যে পরিমাণ বিক্রয়ের আশা করেছিলাম তা পূরণ হচ্ছে না। কাঁঠাল প্রতিশ’ ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ দিকে সিলেটবাসীর হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী জ্যৈষ্ঠহাড়ি অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাস এলেই সিলেটের সব এলাকায় মেয়ে বাড়ির পক্ষ থেকে জামাই বাড়িতে সুস্বাদু ফল পাঠানো হয়।

(ওএস/এএস/জুন ১৪, ২০১৪)