মদন  (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলায়  ১০ টাকা কেজি দরে চাল হতদরিদ্র ও দুঃস্থ লোকদের পরিবর্তে সচ্ছল ব্যক্তিদের নামে তালিকা তৈরি করে চাল দেয়ার অনিয়মের অভিযোগে ৮ ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ৩শ ৪৩টি কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানান যায়, নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৮ ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য মোট ৪ হাজার ৩শ ৪৩টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে উপজেলার কাইটাইল,চানগাঁও,মদন,গোবিন্দশ্রী, মাঘান, নায়েকপুর, ফতেপুর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৩শ ৪৩টি কার্ড বিতরন করা হয় ।

তালিকা তৈরিতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব বিস্তার করে হতদরিদ্র ও দুঃস্থদের পরিবর্তে সচ্ছল নামে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হলে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য বিভাগ তদারকির মাধ্যমে ৮ ইউনিয়ন থেকে ৩ শ ৪৩টি কার্ড বাতিল করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সবচেয়ে অনিয়ম ফতেপুর ইউনিয়নে হলেও মাত্র ৬৮টি কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

কালো বাজারে চাল বিক্রির অভিযোগে মদনে এক জনের ডিলারশীপ বাতিল
মদন (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা ঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ডিলার দিলোয়ার হোসেন কালো বাজারে চাল বিক্রির অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ায় বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো ঃ খুরশীদ শাহরিয়র তার ডিলারশীপ বাতিল করেন।

জানা যায়, নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের ডিলার দিলোয়ার হোসেন কার্ডদারীদের মাঝে চাল বিক্রি না করে রোববার বিকালে দুটি হ্যান্ডট্রলিতে চালের বস্তা বোঝাই করে কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছিল । বস্তার গায়ে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সীল দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয় এবং হ্যান্ডট্রলি দুটি বরাটি এলাকায় আটক করে কালো বাজারী চাল ক্রেতা হান্নানসহ পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রেজাউল করিম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খুরশীদ শাহরিয়র জানান, ডিলার দিলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় কালোবাজারি মামলা হওয়ায় বুধবার তার ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে।








(এএমএ/এস/নভেম্বর ২৪, ২০১৬)