চাটমোহর (পাবনা): পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের আছিয়া বেগম (৬৪)। প্রায় ১০ বছর আগে বাধ্যর্কজনিত জনিত কারণে তার স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তার জীবন। এক সময় গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে কিংবা প্রতিবেশীদের সাহায্যে নিয়ে এক বেলা আবার কখনও দু’বেলা খেয়ে দিন কাটাতো তার। নিজের থাকার এক টুকরো জায়গা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বর্তমানে হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

তার এই দুর্দশা দেখে “আমরা ডিবিগ্রাম ইউনিয়নবাসী” নামক ফেসবুক আইডি থেকে সম্প্রতি আছিয়া বেগমের বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয় পোস্টের মাধ্যমে বিধবা এ নারীর অসহায়ত্বের কথাও ফুটিয়ে তোলা হয় ওই ফেসবুক পোস্টে।
বিষয়টি পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর নজরে আসে এবং “সিটিজেন ভয়েজ পাবনা” নামক ফেসবুক আইডি থেকে আছিয়া বেগমের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তাঁকে সহায়তার জন্য চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনওা বেগম শেহেলী লায়লা খোঁঁজ খবর নিয়ে ভূক্তভোগী বৃদ্ধা মহিলা আছিয়া বেগম আইডি নং-৭৬১২২২৫৯৩৩৫৯৭ এর অনুকূলে একই ইউনিয়নের মৃত সমত্তভানু, স্বামী নূর মোহাম্মদ, গ্রাম কাঁটাখালী, চাটমোহর, পাবনা-এর স্থলে বয়স্ক ভাতা কার্ড প্রতিস্থাপন করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আছিয়ার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসকের স্বামী বিজ্ঞানী মনোজ কুমার মন্ডল, উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, ইউএনও বেগম শেহেলী লায়লা, এসিল্যান্ড মো. মিজানুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও শেহেলী লায়লা বলেন, ‘ বৃদ্ধা আছিয়া বেগমের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আসার পর তাঁকে সহায়তা করা হয়। আমাদের এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।’


(এসএইচএম/এস/নভেম্বর ২৪, ২০১৬)