গাইবান্ধা প্রতিনিধি : রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের ৩০ একর জমিতে সাঁওতালদের চাষ করা রোপা আমন ধান কাটা অব্যাহত রয়েছে।

তৃতীয় দিনের মতো শনিবার বেলা ১১টা থেকে ধান কাটা শুরু হয়। ধান কাটার কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও চিনিকলের শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এই ধান কাটছেন।

এর আগে প্রথমদিন বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ধান কাটা হয়। প্রথমদিনে ১৭ জন সাঁওতালের কাছে ২৬ বস্তা ধান বুঝে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে ৮২ বস্তা ধান সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

তৃতীয় দিনে ধান কাটার সময় উপস্থিত রয়েছেন- রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল হান্নান ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আহাদ আলী।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তৃতীয় দিন শনিবার সকাল থেকে খামারের জমির ধান কাটা শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত ধান কাটা হবে। ধান কাটা শেষ হলে সাঁওতালদের সন্ধ্যার মধ্যে ধান বুঝিয়ে দেয়া হবে।

রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল জানান, প্রতিদিন ধান কাটার পর বস্তায় করে তালিকা অনুযায়ী সাঁওতালদের কাছে তা বুঝে দেয়া হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যার পর সাঁওতালদের ধান বুঝিয়ে দেয়া হবে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ধান কাটা অব্যহত রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো খামার এলাকায় মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাঁওতালরা নিজেরাই ওই জমির ধান কাটতে চেয়েছিল। এজন্য তারা ইক্ষু খামার এলাকা জুড়ে বসানো কাটা তারের বেড়া তুলে ফেলতে এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছিল প্রশাসনের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসন ওই ধান কাটতে চিনিকল কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করায় বৃহস্পতিবার ধান কাটা নিয়ে প্রথমদিকে সাঁওতালদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও উত্তেজনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা ওই ধান মিল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে গ্রহণ করেন।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৬)