ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে রেলওয়ের ঠিকাদারী কাজে সরকারের শত শত কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে। বুধবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সদর দপ্তরের হাশেম আলী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের তালিকাভূক্ত ঠিকাদাররা এই অভিযোগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এই অনিয়ম প্রসংগে লিখিত আবেদন এসময় উপস্থাপন করা হয়। ঠিকাদাররা আবেদনে ও বক্তব্যে জানান, স্থানীয় ঠিকাদারদের প্রাপ্য ছোট অঙ্কের কাজগুলো একত্রিত করে এখন প্যাকেজের মাধ্যমে বড় অঙ্কের দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে গুটিকয়েক বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র পুঁজি নিয়ে ছোট ঠিকাদাররা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না।

ঠিকাদাররা আরো জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছর হতে এভাবে বড় ঠিকাদারদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এই প্যাকেজ প্রথা চালু করা হয়েছে। রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এই সব বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে এখন উচ্চ বেতনে কর্মরত। তাদের পরামর্শ মোতাবেক এবং রেলওয়ের মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপকসহ উচ্চ কর্মকর্তাদের যোগাযোগ থাকায় এই প্রথা চালু হয়েছে।

ঠিকাদাররা বলেন, ক্ষুদ্র ঠিকাদাররা সিডিউল অনুযায়ী কাজ করলেও বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিডিউলের বাইরে মোটা অংকের দর দিয়ে অনৈতিক উপায়ে কাজ অনুমোদন করাচ্ছেন। যে পরিমাণ অর্থে ক্ষুদ্র ঠিকাদাররা কাজ সম্পন্ন করেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো একই কাজ দুই থেকে তিন গুণ অর্থ ব্যয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করছে। কাজের গুণগত মান নিয়েও এই ঠিকাদাররা প্রশ্ন উত্থাপন করে সমালোচনা করেন। এভাবে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

রেলওয়ের তালিকাভূক্ত ছোট ঠিকাদাররা এই বঞ্চনামূলক ব্যবস্থা হতে মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রায় অর্ধ শতাধিক ঠিকাদারের উপস্থিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ঠিকাদার হাবিবুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা চান্না, ছাইফুল ইসলাম বাবু মন্ডল, এনামূল হক বিশ্বাস, খালেকুজ্জামান প্রমুখ।

(এসকেকে/এএস/নভেম্বর ৩০, ২০১৬)