প্রবীর সিকদার


পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বাতিল করা হয়েছে ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টারের দাখিল করা মনোনয়নপত্র। আজ শনিবার ফরিদপুরে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে তাঁর মনননয়নপত্র বাতিল করা হয়।

ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মূলধারার প্রার্থী হয়েছিলেন বহুবার কারা নির্যাতন ভোগকারী আওয়ামীলীগ নেতা ও ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর পরই অপহরণ করা হয় তাঁর মনোনয়নপত্রে সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর দানকারী ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. শওকত হোসেনকে। তারপর থেকেই নিখোঁজ শওকত হোসেন। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, নির্মম নির্যাতনের মুখে শওকতের কাছ থেকে একটি লিখিত বিবৃতি আদায় করা হবে, যাতে লিপিবদ্ধ থাকবে, শওকত ভোলা মাস্টারের সমর্থক হতে চাননি, তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে দিয়ে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এই বিষয়টি আগেভাগেই আঁচ করতে পেরে গতকাল শুক্রবার ভোলা মাস্টার ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় গিয়েছিলেন একটি জিডি এন্ট্রি করতে। থানা পুলিশ তার জিডি গ্রহণ করেনি। বিষয়টি সাথে সাথে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার পাননি শামসুল হক ভোলা মাস্টার।

অবশেষে যা হবার তাই হয়েছে। অপপ্রক্রিয়ার সেই আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণিত করে ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মূলধারার চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টারের মনোনয়নপত্র আজ শনিবার বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য ভোলা মাস্টার দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, এই জঘন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি আইনী লড়াই করবেন। হায় গণতন্ত্রের এ কী নমুনা ফরিদপুরে !

(পিএস/এএস/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬)