পাহাড়ি কন্যা

হে রমণী -তোমার রূপের জোয়ারে
শুদ্ধ হয় ভোগাই নদীর ঘোলাটে পানি,
সুউচ্চ গারো পাহাড়ের নেমে আসা
ঝরণার স্বচ্ছ স্রোতের জলধারা তুমি।

ঘন কুয়াশার আবরণে লুকিয়ে থাকো
অন্ধকার তিথিতে অভিমানে কিছুক্ষণ,
সোঁনালী প্রভাত ডেকে আনো সূর্যস্নানে
আলোকিত করে দাও অবুঝের মন।

পাহাড়ি লতাপাতায় সাজিয়ে দেহ
প্রকৃতির সাথে করো সন্ধি,
প্রার্থনায় গির্জার ঘন্টা বাজাও তুমি
মায়ার জালে করো বন্দি।

পাহাড়ি পথে,নিয়েছিলে সাথে বসন্ত দিনে
শুনাও বারে বারে কোকিল কন্ঠে গান,
এতো রূপ কে দিয়েছে তোমায়!
বলেছিলে তুমি! ভাগ্যবিধাতার দান।

হাসিতে মুক্তা ঝরে পাহাড়ের বুকে
পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাই কোন এক সুখে,
রাবার ড্যামের বাঁধে আটকে যায় মন
প্রকাশ করতে পারিনা হায়! বোবা মুখে।

জানিনা কিসের টানে, কোন সে ভালবাসায়
পত্র লিখি তোমায় কাঁঠাল পাতা ছিঁড়ে,
অপেক্ষায় কাটাবো প্রহর উপবাসে-
সেই ভোগাই নদীর তীরে,আসো যদি ফিরে!

প্লাবিত হোক পাহাড়ের বুক
হৃদয় ভূমিতে নেমে আসুক বন্যা,
আমি যুগযুগ ভালবেসে যাবো তোমায়
ওগো রূপের বসুমতী পাহাড়ি কন্যা।