রূপক মুখার্জি, লোহাগড়া : শীতে একটু উষ্ণতার জন্য সাধারণ মানুষের উদ্যোগ-আয়োজনের শেষ নেই! শীত যাতে কাবু করতে না পারে, একটু আরাম বোধের জন্য লেপ-তোষক বানানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তাই,শীতের আগমনের সাথে সাথেই লোহাগড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ধুনকারদের লেপ-তোষক তৈরির কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে। দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। কাজের চাপে নাওয়া-খাওয়া প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক কথায়, চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার ধুনকার সম্প্রদায়ের মানুষজন।

লোহাগড়া উপজেলা লক্ষীপাশা, লোহাগড়া, দিঘলিয়া, এড়েন্দা, ইতনা, নলদী, লাহুড়িয়া, মানিকগঞ্জ, বদড়িয়াসহ বিভিন্ন হাট বাজারে অবস্থানরত প্রায় শতাধিক লেপ-তোষক বিক্রেতা ও ধুনকার রয়েছে। এসব ধুনকাররা শীত মৌসুম শুরু হবার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট পেশার সাথে জড়িত কারিগরদের নিয়ে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে লেপ-তোষক তৈরীতে। লোহাগড়া বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রচুর পরিমাণে লেপ-তোষক তৈরীর অর্ডার পাচ্ছি। এ কাজে সামাল দিতে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাগুরা জেলার থেকে অগ্রীম অর্থ দিয়ে কারিগর নিয়ে এসেছি।

প্রেসক্লাব মার্কেটের কারিগর আজিবর জানান, এ বছর কাপড় ও তুলার দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা লেপ-তোষকের দাম শুনে প্রথমে থমকে যাচ্ছে। পরে বাধ্য হয়েই তাদেরকে দ্বিগুন মূল্য দিয়ে লেপ-তোষক তৈরি করতে হচ্ছে।

লোহাগড়ার বাজারের ব্যবসায়ী জাফর মিয়া জানান, বর্তমান কার্পাস ও শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোষক তৈরীতে গামেন্টর্সের তুলা ব্যবহার করছেন ক্রেতারা। শিমুল ও কার্পাস তুলার অভাবে আমরা অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছি। তিনি আরও জানান, আমাদের ব্যবসার জন্য কোন বাজারে আলাদা ভাবে কোন ‘চান্দিনা’ বা জায়গা নাই।

(আরএম/এএস/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬)