প্রবীর সিকদার


স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা ওই দিবসগুলো পালনের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পায়; সেই সাথে তারা ওই দিবসগুলোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। শিক্ষার্থীরা যদি জাতীয় দিবসগুলোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তো শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে বাধ্য।

জাতীয় দিবসগুলো পালনের চর্চার ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে দেশপ্রেমের বীজ বপন করা হয়। অথচ জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থেকেই বঞ্চিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় দিবসগুলো পালনের নির্দেশনা থাকলেও দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবস ভিত্তিক ছুটি ঘোষণার মধ্য দিয়েই তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

জাতীয় দিবসে ছুটি না দিয়ে জাতীয় দিবস পালনের নির্দেশনা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা দিবস ভিত্তিক চর্চার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমিক হিসেবেই নিজেদেরকে গড়ে তোলার সুযোগ পেতো। দেশপ্রেম বিবর্জিত শিক্ষা যে আসলে কোনো শিক্ষাই নয়, তাতো আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

আর কথা না বাড়িয়ে সরকারের কাছে আমার দাবি রইলো, স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি,বিজয় দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে যথাযথ গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালন করতেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি বাতিল করা হোক এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দিবসের আগের দিন কিংবা পরের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিবসভিত্তিক ছুটি কার্যকরের বিধান জারি করা হোক। এমনকি কোনো জাতীয় দিবস যদি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও পড়ে, সরকারি বিশেষ নির্দেশনায় ওই দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে, জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে।