রাঙমাটি প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় শেষে রাঙামাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ানো হয় ১৭ ডিসেম্বর। কিন্তু তার তিনদিন আগে অর্থ্যাৎ বিজয় মুহূর্তে ১৪ ডিসেম্বর রাঙামাটিসহ সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়।
রাঙামাটিতে বিজয়ের পতাকা ওড়ে ১৭ ডিসেম্বর।

জেলা কমান্ড ইউনিট কমান্ডার রোবার্ট রোনাল্ড পিন্টু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের পটভূমি বর্ণনা করে বলেন, ৭১’এর ১৪ ডিসেম্বর রাঙামাটির বরকলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দুটি বিমানযোগে পাকবাহিনীর সুদৃঢ় অবস্থানে আক্রমণ চালায়। এতে টিকতে না পেরে সেখানে অবস্থানরত প্রায় সাতশ পাকসেনা মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

পরদিন ১৫ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী রাঙামাটি দখলে নেয়। কিন্তু দুর্গমতার কারণে রাঙামাটিতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের জাতীয় পতাকা উড়ানো হয় ১৭ ডিসেম্বর।

আলাপকালে কমান্ডার রোবার্ট রোনাল্ড পিন্টু বলেন, ১৫ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনী রাঙামাটি ত্যাগ করলেও মিজোবাহিনীর অবস্থান থেকে যায়। পরে তারাও পার্বত্য চট্টগ্রাম অবস্থান ত্যাগে বাধ্য হয়।

এদিকে, ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও পশ্চাৎপদ অঞ্চল হওয়ার কারণে রাঙামাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক পতাকা উড়ে বিজয়ের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর।

সেইদিন রাঙামাটির শহীদ আব্দুস শুক্কুর মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মনীষ দেওয়ান। সেসময় তৎকালীন অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এইচটি ইমাম উপস্থিত ছিলেন।

আর এজন্যই ১৭ ডিসেম্বরকে রাঙামাটি মুক্ত দিবস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬)