কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল মান্নান (গাজী মান্নান) মারা গেছেন।

সোমবার ভোর ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পলাতক থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে আজিজুল হক লিটন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরে পর থেকে রূপগঞ্জের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন গাজী মান্নান।

প্রসঙ্গত, মানবতা বিরোধী অপরাধে এ বছরের ৩ মে করিমগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নানসহ ৫ রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দেন মানবতা বিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালের ২ মে করিমগঞ্জ উপজেলার আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়া কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৬ আদালতে একটি মামলা করেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্ত শুরু করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর গাজী আবদুল মান্নান, ক্যাপ্টেন এ টি এম নাছির, তার ভাই অ্যাড. শামছুদ্দিন আহমেদ এবং অপর দুই রাজাকার হাফিজ উদ্দিন ও আজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান।

২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বছরের ৩ মে ৫ রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত অপর ৪ আসমির মধ্যে শামসুদ্দিন গ্রেফতার থাকলেও পলাতক রয়েছেন মামলার বাকি ৩ আসামি।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬)