চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :চট্টগ্রামের বহু আঞ্চলিক, মাইজভান্ডারি ও মরমি গানের স্রষ্টা আব্দুল গফুর হালি আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গফুর হালির নাতি মইনুল হক জুয়েল জানান, ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুই মাস আগে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর কয়েক মাস হাসপাতালে ছিলেন গফুর হালি। মাঝখানে বাড়ি ফিরলেও গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার মাইজভান্ডার দরবার শরীফ, জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ এবং শুক্রবার বাদ জুমা নিজ গ্রাম পটিয়ার রশিদাবাদে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দুই ছেলে, দুই মেয়ের বাবা ছিলেন গফুর হালি। ২০১৪ সালে তার স্ত্রী মারা যান। চট্টগ্রামের সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দার জানান, ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে গান রচনা, সুর ও নাটক লিখেছেন গফুর হালি। তার সৃষ্ট ৭৬টি মাইজভান্ডারি গান জার্মান ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হান্স হার্ডার গফুর হালিকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। গফুর হালিকে নিয়ে হান্স হার্ডারের ডার ফেরুখট গফুর স্প্রিখ (পাগলা গফুর) নামে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে।

পাঞ্জাবীওয়ালা, সোনা বন্ধু তুই আমারে করলি দিওয়ানা, মনের বাগানে ফুটিল ফুলরে, অ বানু.... বানুরে..., অ শ্যাম রেঙ্গুন নঅ জাইও, চল যাই জিয়ারতে মোহছেন আউলিয়ার দরবারে, দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে এমন জনপ্রিয় সব গানসহ প্রায় দুই হাজার গানের স্রষ্টা, সুরকার ও শিল্পী আব্দুল গফুর হালির জন্ম ১৯২৯ সালের অগাস্টে পটিয়া উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামে।






(ওএস/এস/ডিসেম্বর ২১, ২০১৬)