চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :বয়স বোধ হয় সদ্য পেরিয়েছে পঁচিশ। যুবতীর চোখে-মুখে কথা। গলায় জড়ানো এক ডজন খানিক সাপ। ওটাই ওর প্রধান অস্ত্র। পথচারী,দোকানি বা পেশাজীবী যাকেই সামনে পাচ্ছে অস্ত্রটা সামনে ধরে আদায় করছে টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি। বন্দুকের নলের চেয়ে ভয়ঙ্কর ভঙ্গিতে সাপের মাথাটা এগিয়ে দিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থেকে টাকা নিয়েই সটছে চতুর যুবতী।

নাম কি? কোথা থেকে এসেছো? ক’জনই বা আছে তোমাদের দলে? তোমরা কি বেদে? এসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার ফুসরতই তো নেই তার। আজ শনিবার সকালের দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুার জুড়ানপুর এলাকায় যখন যুবতী কয়েকজনের নিকট থেকে ভয়ানক ভঙ্গিতে সাপ অস্ত্রের মুখে টাকা আদায় করতে দেখা গেয়েছে। তখনই তার সম্পর্কে জানতে সাংবাদিক তৌহিদ তুহিন এগিয়ে যান তার পাশে। যুবতী বুঝে নেয় দ্রতত সটকাতে হবে। তড়িঘড়ি সরতে চাইলেও আগলে ধরে প্রশ্ন করতেই বলে‘ঢাকার সাভার থেকে এসেছি। রাজশাহী থাকি। আমাদের দলে আছে অনেক জোন।

সাপ সামনে ধরে টাকা আদায় করা অন্যায়। বিষয়টি যুবতী জানে নাকি জানে না তা বোঝা গেলো না। তার শুধু দরকার টাকা। সাপ সামনে ধরে জনপ্রতি গড়ে ১০ টাকা করে আদায় করলেও বেশি সময় লাগছে না হাজার পুজতে। সাপ অস্ত্র ব্যবহার করে যেভাবে দ্রত ছুটে পথচারী ও দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করছে তা থামাবে কে? সাপ দেখে ভয় কার না হয়। পুলিশকেও যুবতীর ওই অন্যায় অর্থবাণিজ্য থামাতে দেখা যায়নি। অবশ্য তেমন কেউ পুলিশে নালিশও করেনি।










(টিটি/এস/ডিসেম্বর২৪,২০১৬)