চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের।

রবিবার সকালে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, সারা দেশের সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করবে আওয়ামী লীগ।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহি উদ্দিন চৌধুরীর নগরীর চশমা হিলের বাসায় অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য ও জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দুই বছর বাকি আছে এবং এর প্রস্তুতি চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সারা দেশে দলের অভ্যন্তরে থাকা সমস্যা সমাধান করে ছয় মাসের মধ্যে অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

তবে দলীয় প্রার্থীর অনিয়ম ও অপকর্মগুলো কঠোর হস্তে দমন করার কথা জানান মন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন, জনপ্রিয়তা ও সততার কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একইভাবে সারা দেশের সব নির্বাচন ও বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা পছন্দ করা হবে। প্রার্থীর কোনো অনিয়ম অপকর্মের বিষয়গুলো কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

জঙ্গিরা তলে তলে আরো আরো বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এর বড় প্রমাণ আশাকোনার ঘটনা। এটি ভয়াবহ বিষয়। দুজন আত্মঘাতী নারী শিশু নিয়ে আস্তানায় ছিল। এখান থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উগ্রবাদী জঙ্গিবাদের প্রতিহত ও তাদের পরাজিত করতে হবে।’ এ ছাড়া ছাত্রলীগকে নেতিবাচক খবর হতে বের হয়ে এসে ইতিবাচক ধারায় রাজনীতি করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগকে খারাপ খবরের শিরোনাম আর দেখতে চাই না।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ছাত্রনেতার মৃত্যুর ঘটনা, টেন্ডারবাজিসহ নানা নেতিবাচক ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া দলীয় নেতার ভূমিকা ও আচরণ পরিহার করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিনের বর্তমান উপাচার্য পদ চলে গেলে ছাত্রলীগ আন্দোলন করে ঠেকাতে পারবে না বলে জানান মন্ত্রী।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার আরো তদন্ত ‌ও পুনর্তদন্ত প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬)